|
আরিফ খান জয় কালিয়ারা গাবরাগাতী ইউনিয়নের ত্রিশকাহনিয়া গ্রামের সন্তান (জন্ম: ২০ নভেম্বর ১৯৭১) হলেন একজন বাংলাদেশী সাবেক পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় এবং রাজনীতিবিদ।[১][২] জয় তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় ঢাকা আবাহনী এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি মূলত একজন কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি ২০১৪ সাল হতে ২০১৮ পর্যন্ত বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৯৪ সালে মৌসুমে, বাংলাদেশী ক্লাব ঢাকা ক্লাবের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন, যেখানে তিনি মাত্র ১ মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন। অতঃপর ১৯৯৫ সালে তিনি ঢাকা আবাহনীতে যোগদান করেছিলেন, টেমপ্লেটক্লাবের হয়ে তিনি ১টি লিগ শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন। ঢাকা আবাহনীতে ১ মৌসুম অতিবাহিত করার পর ঢাকা মোহামেডানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। পরবর্তীকালে, তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং ঢাকা মোহামেডানের হয়ে খেলেছিলেন। সর্বশেষ ২০০৩–০৪ মৌসুমে, তিনি ঢাকা মোহামেডান হতে ঢাকা আবাহনীতে যোগদান করেছিলেন; ঢাকা আবাহনীর হয়ে ৭ মৌসুম খেলার পর তিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন।
২০০৩ সালে তিনি বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন; বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তিনি সর্বমোট ১৯ ম্যাচে ১টি গোল করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের হয়ে সর্বমোট ২টি এএফসি এশিয়ান কাপে (২০০৪ এবং ২০০৭) অংশগ্রহণ করেছিলেন।
দলগতভাবে, জয় সর্বমোট ৭টি শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন, যার মধ্যে ৪টি ঢাকা আবাহনীর হয়ে এবং ৩টি ঢাকা মোহামেডানের হয়ে জয়লাভ করেছিলেন।
২০০৩ সালের ১১ই জানুয়ারি তারিখে, ৩১ বছর ১ মাস ২৩ দিন বয়সে, জয় নেপালের বিরুদ্ধে ২০০৩ সাফ গোল্ড কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক করেছিলেন। তিনি উক্ত ম্যাচের মূল একাদশে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ম্যাচটি বাংলাদেশ ১–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল। বাংলাদেশের হয়ে অভিষেকের বছরে জয় সর্বমোট ৭ ম্যাচে ১টি গোল করেছিলেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের ২ দিন পর, বাংলাদেশের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন; ১৩ই জানুয়ারি তারিখে, মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার একমাত্র গোলটি করেছিলেন। ২০০৫–২০০৬ সালের দিকে জয় বাংলাদেশের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৩]
২০০৬ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর তারিখে জয় ৩৪ বছর বয়সে বাংলাদেশের তার সর্বশেষ ম্যাচটি খেলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। কাতারের দোহার শেখ জাসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কাতারের বিরুদ্ধে উক্ত ম্যাচে বাংলাদেশ ৩–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল, ম্যাচটিতে তিনি ৬০ মিনিট খেলেছিলেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে, তার প্রায় ৩ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি সর্বমোট ১৯ ম্যাচে ১টি গোল করেছিলেন।
জয় ২০১৪ সালে নেত্রকোণা-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৪] তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লিগের দলের একজন সদস্য।[৪] একজন সাবেক পেশাদার ফুটবলার এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করা জয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হন। যিনি প্রথম প্রাক্তন পেশাদার ক্রীড়াবিদ হিসেবে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস